ঢাকা, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, মেঘনার বুকে ভাসান চরে ফাইভস্টার হোটেল নেই বলেই কক্সবাজার থেকে রোহিঙ্গা শরনার্থীদের ওই এলাকায় স্থানান্থরে এনজিওরা বাধা দিচ্ছেন। জোর করে কোনো রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পাঠানো হবে না। যদিও ভাসানচর রোহিঙ্গাদের জন্য স্থায়ী কোনও সমাধান নয়।
সম্প্রতি দ্বিতীয় দফায়ও রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন করা কার্যত বিফল হওয়ায় নিপীড়িত এই শরনার্থীদের নোয়াখালীর অদূরে ভাসানচরে স্থানান্থরের চিন্তা করছে সরকার। তবে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি এই প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করে আসছে। তবে বাংলাদেশ সরকারের এই পরিকল্পনাকে গত মার্চ মাসে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘ। ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের বসবাসের জন্য পরিকল্পিত অবকাঠামোও তৈরি করেছে সরকার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গারা ভাসানচরে গেলেও সংকটের শেষ হবে না। এটি হবে সাময়িক সমাধান। এবার বর্ষায় ভূমিধসের আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পাঠাতে চেয়েছিলেন। সেখানে রোহিঙ্গারা গেলে তাদের রুজি-রোজগারের ব্যবস্থা হতো।’ ‘কিন্তু রোহিঙ্গারা ভাসানচরে যেতে রাজি হয়নি। এ বিষয়ে এনজিওরা বাধা দিয়েছে। কারণ সেখানে তাদের (এনজিও) জন্য ফাইভস্টার হোটেলের ব্যবস্থা নেই।’
Leave a Reply